
আল্লাহ যা হারাম করেছেন তাকে হালাল করা ও যাকে হালাল করেছেন তা হারাম করা শিরক। সূরা তাওবার ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন –
“তারা তাদের র্যাবাইদেরকে ও পাদ্রীদেরকে পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তাদের আদেশ করা হয়েছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর সাথে যে শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র।”
রাসূলুল্লাহ (সঃ) তার পবিত্র জবানে নিজে এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। এ আয়াতটি নাযিলের পর আদি ইবনে হাতিম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে এ বিষয়ে বললেন, “হে রাসূল! ওরা তো ওদের পাদ্রী-পণ্ডিতদের ইবাদত করেনি?” উত্তরে তিনি বলেন-“এসকল আলেম-দরবেশ তাদের জন্য অনেক বিষয় হালাল করে দিতো। তখন তারা তা হালাল বলে গ্রহন করতো। অনুরূপভাবে অনেক বিষয় তারা হারাম করে দিতো, তখন তারা তা হারাম বলে গ্রহন করতো। এভাবেই তারা তাদের ইবাদাত করেছে।” (তিরমিযিী)
কেউ যদি আল্লাহর বিধান লঙ্ঘন করে তা হবে গুনাহের কাজ। কিন্তু আল্লাহর বিধানকে পরিবর্তন করা শুধু গুনাহই নয়, বরং তার চেয়েও বেশী কিছু – এটা শিরক। আর যারা একে গ্রহন করবে, সমর্থন দেবে এবং এর প্রচার ও প্রসার ঘটাবে তারাও এই শিরকে অংশগ্রহণকরী।
কোরআন ও হাদিসের বহু আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে আল্লাহ তাঁর বান্দার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত, এমনকি তা আকাশ পরিমাণ হলেও। কিন্তু মহান আল্লাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিরকের গুনাহ তিনি কখনোই ক্ষমা করবেন না। কাজেই আমরা যত বড় গুনাহগারই হই না কেন আমাদের লক্ষ্য থাকবে আমরা যেন অবশ্যই তাওহীদের উপর মৃত্যুবরণ করতে পারি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ নিয়ে কবরে যেতে পারলে মুক্তি নিশ্চিত ইনশাল্লাহ।
ট্যাগ |
শিরক গুনাহ, শিরক কত প্রকার ও কি কি, শিরক কি ও কেন, শিরক কাকে বলে, শিরক বই, শিরক সম্পর্কিত আয়াত, শিরক ও বিদআত, শিরকের ভয়াবহতা, সূরা তাওবা, আখেরী জামানা
|