
প্রথাগত সুন্নী ইসলামের সাথে শিয়া মতবাদের মৌলিক পার্থক্য ইসলামের নেতৃত্ব বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। শিয়াদের বিশ্বাস যাঁরা হজরত আলী (রাঃ) এবং সায়্যিদা ফাতিমা (রাঃ) এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর বংশধর অর্থাৎ যাঁরা সায়্যিদ, শুধুমাত্র তাঁরাই ইসলামের খলিফা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তাদের আরো বিশ্বাস এই খলিফাগণ ঐশ্বরিকভাবে নিয়োজিত (Divinely appointed) হন, মনুষ্য যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে নয়। কিন্তু সুন্নী ইসলাম এ ধারণাকে সমর্থন করে না। সুন্নীদের মতে কাউকে খলিফা হিসাবে নিয়োজিত করা হবে তাঁর চারিত্রিক ও মানবিক বিভিন্ন গুণাবলীর ভিত্তিতে, বংশমর্যাদা এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। একই সঙ্গে সুন্নীরা খলিফা নির্ধারণে ক্ষেত্রে ঐশ্বরিক নিয়োজনে বিশ্বাস করে না, খলিফা নির্বাচনের কাজটি সম্পন্ন করে মজলিসে শুরা।
শিয়াদের ১২ ইমামের মতবাদটি কি?
১২ ইমাম মতবাদে বিশ্বাস করা হয় সর্বশক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক ১২ জন ইমামকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে মুসলিম জাহানের নেতৃত্বদানের জন্য। তাঁরা তাঁদের কর্মের দিক থেকে ভুলত্রুটি মুক্ত এবং চারিত্রিকভাবে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ নিষ্কলুষ। তাঁরা শরিয়তের ভিত্তিতে মানবজাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ১২ জন ইমাম হলেন –
১২ ইমাম মতবাদে বিশ্বাস করা হয় সর্বশক্তিমান আল্লাহ কর্তৃক ১২ জন ইমামকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে মুসলিম জাহানের নেতৃত্বদানের জন্য। তাঁরা তাঁদের কর্মের দিক থেকে ভুলত্রুটি মুক্ত এবং চারিত্রিকভাবে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ নিষ্কলুষ। তাঁরা শরিয়তের ভিত্তিতে মানবজাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। ১২ জন ইমাম হলেন –
১। ইমাম আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ)
২। ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ)
৩। ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ)
৪। ইমাম জয়নাল আবেদিন (রাঃ)
৫। ইমাম মুহাম্মাদ আল বাকের (রাঃ)
৬। ইমাম জাফর সাদেক (রাঃ)
৭। ইমাম মুসা আল কাজিম (রাঃ)
৮। ইমাম আলী রেজা (রাঃ)
৯। ইমাম মুহাম্মাদ আল তাক্বি (রাঃ)
১০। ইমাম আলী আন নাক্বি (রাঃ)
১১। ইমাম হাসান আল আসকারি (রাঃ)
১২। ইমাম মুহাম্মাদ আল মাহদি (আঃ)
২। ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ)
৩। ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ)
৪। ইমাম জয়নাল আবেদিন (রাঃ)
৫। ইমাম মুহাম্মাদ আল বাকের (রাঃ)
৬। ইমাম জাফর সাদেক (রাঃ)
৭। ইমাম মুসা আল কাজিম (রাঃ)
৮। ইমাম আলী রেজা (রাঃ)
৯। ইমাম মুহাম্মাদ আল তাক্বি (রাঃ)
১০। ইমাম আলী আন নাক্বি (রাঃ)
১১। ইমাম হাসান আল আসকারি (রাঃ)
১২। ইমাম মুহাম্মাদ আল মাহদি (আঃ)
১২ ইমামের মতবাদটি ধারণ করে ইসনা আশারিয়্যাহ শিয়ারা। শিয়াদের মধ্যে এটাই সর্ববৃহৎ দল, মোট শিয়া জনগোষ্ঠীর শতকরা ৮৫ ভাগই হল ইসনা আশারিয়্যাহ।
আরবী “ইমাম” শব্দের অর্থ নেতা। শিয়ারা তাঁদের খলিফা ও উচ্চপর্যায়ের ধর্মীয় নেতাদের ক্ষেত্রে ইমাম শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। সুন্নী ট্র্যাডিশনে খলিফাকে খলিফা বলেই সম্বোধন করা হয় এবং ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে ইমাম শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রথম ইমাম আলী (রাঃ) থেকে শুরু করে এগারোতম ইমাম হাসান আল আসকারি (রাঃ) পর্যন্ত সকলে পিতাপুত্র, ব্যতিক্রম শুধু ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হুসাইন (রাঃ), তাঁরা একে অপরের ভাই।
ইমাম মাহদির ব্যাপারে শিয়াদের বিশ্বাস তিনি ইমাম হাসান আল আসকারির ছেলে। তিনি জন্মগ্রহণ করার পর তাঁকে লুকিয়ে ফেলা হয়। তিনি এখনো জীবিত আছেন ও গুপ্ত অবস্থাতেই আছেন। আখেরী জামানায় যখন সারা পৃথিবী অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম ও ফাসাদে ভরে যাবে ও মুসলিমরা অসহায় অবস্থায় থাকবে তখন ইমাম মাহদি (আঃ) মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসাবে আবির্ভূত হবেন।
সুন্নী দৃষ্টিকোণ থেকে ১২ ইমামঃ
শিয়া ও সুন্নী ইসলামে ১২ ইমামের ধারণাটি এসেছে একটি বিখ্যাত হাদিস থেকে। এখানে শুধু সুন্নী বর্ণনা উল্লেখ করা হল। জাবির ইব্নু সামুরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন -
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, মুসলিম শাসন থাকবে যতক্ষণ না তাঁদের মধ্যে বারজন শাসক শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। জাবির (রহঃ) বলেন, এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিছু কথা বললেন, যা আমি শুনতে পাইনি। তাই আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী বললেন? তিনি বললেন, তিনি বলেছেনঃ সবাই কুরাইশ বংশ থেকে হবে। [সহিহ মুসলিমঃ ৪৬০০]
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি যে, “বারজন আমীর হবে”। এরপর তিনি একটি কথা বললেন যা আমি শুনতে পাই নি। তবে আমার পিতা বলেছেন যে, তিনি বলেছিলেন সকলেই কুরাইশ গোত্র থেকে হবে। [সহিহ বুখারীঃ ৭২২২, আহমাদঃ ২০৮৮২]
একই হাদিসের অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনায় এসেছে। তবে কোন জায়গায়ই “ইমাম” শব্দটি আসেনি, “খলিফা” বা “আমীর” শব্দ এসেছে। আর এই খলিফাগণ সবাই হবেন কুরাইশ বংশ থেকে। হাদিসটি খুবই সহিহ মানের এবং তা সুন্নী বর্ণনায় বহুবার এসেছে। তাই শিয়াদের অনেক সময় দাঁত বের করে হাসতে দেখা যায় আর বলতে শোনা যায়, “তোমাদের বুখারি মুসলিমেও আছে ১২ ইমাম, দেখো গিয়ে”। আবার সুন্নীদের মধ্যে অনেকেরই ১২ ইমাম/খলিফা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার নয়। দেখে নেয়া যাক ১২ আমীর/ইমাম/খলিফার হাদিসের ব্যাপারে প্রথাগত সুন্নী ইসলামের মতামত কি।
সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ও প্রখ্যাত সুন্নী আলেমগন এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত প্রকাশ করেছেন। এখানে সামান্য কয়েকটি তুলে ধরা হল -
১ম অভিমতঃ এখানে সত্যপন্থী ন্যায়পরায়ণ খলিফাদের কথা বলা হয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ ইতিমধ্যেই আবির্ভূত হয়েছেন ও চলে গেছেন, শেষ দিবসের আগে তাঁদের সংখ্যা পরিপূর্ণ হবে।
ইমাম নববী (রাঃ) বলেন, “হতে পারে এখানে তাঁদের বোঝানো হয়েছে যাঁরা খিলাফতের যোগ্য হকদার, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই চলে এসেছেন ও চলে গেছেন, তাঁরা পরিচিত, তাঁদের সংখ্যা কেয়ামত শুরু হওয়ার আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যাবে”। (শরহে মুসলিম, ১২/২০২)
একই ধারণা পোষণ করেন ইমাম আল-কুরতুবি (রাঃ), তিনি বলেন, “তাঁরা হলেন ন্যায়পরায়ণ খলিফা, যেমন- খুলাফায়ে রাশেদিনের চার খলিফা, উমার ইবনে আব্দুল আজিজ। তাঁদের মত অন্য যাঁরা আছেন তাঁরাও একসময় আবির্ভূত হবেন এবং সত্য ও ন্যায়ের পথকে সমর্থন করবেন, যতক্ষণ না তাঁদের সংখ্যা পরিপূর্ণ হয়”। (আল মুফহিম, ৪/৮)
ইবনে কাসির (রাঃ) বলেন, “এই হাদিসের অর্থ হল এটি বারজন খলিফার আগমনের শুভ সংবাদ প্রদান করছে যাঁরা সত্যের পথকে সমর্থন করবেন ও মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। এমন নয় যে তাঁরা একজনের পরই অন্যজন আসবেন, বরং তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ একজনের পর অন্যজন এসেছেন যেমন- চার খলিফাঃ আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাদিয়াল্লহু আনহুম)। তাঁদের আরেকজন হলেন উমর বিন আব্দুল আজিজ, বিশিষ্ট আলেমগণের মতে, এবং অন্যরা হল আব্বাসীয়দের মধ্যে কেউ কেউ”। (তাফসীরুল কুরআনুল আযিম, ৩/৬৫)
২য় অভিমতঃ ভিন্ন আরেকটি মত হচ্ছে তাঁরা সবাই একই সঙ্গে আবির্ভূত হবেন এবং সবাই একে অপরের সমসাময়িক হবেন।
ইমাম নববী (রাঃ) বলেন, “এর অর্থ হতে পারে তাঁরা সবাই একই সময় আবির্ভূত হবেন এবং তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে মুসলিমদের দল অনুসরণ করবে”। (শরহে মুসলিম, ১২/২০২)
ইবনে হাজার আসকালানি (রাঃ) বলেন, “হতে পারে এটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বিভিন্ন অদ্ভুত বিষয় ও দাঙ্গা হাঙ্গামার কথা ভবিষৎবাণী করে গিয়েছিলেন যা তাঁর ইন্তেকালের পর ঘটবে, এতটাই যে মানুষ বারজন নেতার মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়বে”। (ফাতহুল বারি, ১৩/২১১)
৩য় অভিমতঃ ৩য় অভিমত হচ্ছে এখানে এমন সব খলিফার কথা বলা হচ্ছে যাঁদের শাসনামলে ইসলাম বিজয়ী থাকবে এবং মুসলিম উম্মাহ তাঁদের অধীনে একত্রিত থাকবে, তাঁরা ন্যায়সঙ্গতভাবে শাসন করুক আর নাই করুক।
ইমাম নববী (রাঃ) বলেন, “হতে পারে এমন ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে যাঁদের সময়ে ইসলাম বিজয়ী থাকবে এবং তাঁদের অধীনে মুসলমানরা একত্রিত থাকবে, যেহেতু সুনানে আবু দাউদে বলা হয়েছেঃ “তাঁদের প্রত্যেকের অধীনে উম্মাহ সংঘবদ্ধ থাকবে”। (শরহে মুসলিম, ১২/২০২-২০৩)
আবুল আব্বাস আল কুরতুবি (রাঃ) বলেন, “এখানে ঐসকল খলিফাদের কথা বলা হচ্ছে যাঁরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সঃ) ও তাঁর সাহাবীদের পরে আসবেন”। (আল মুফহিম, ৪/৮-৯)
এখানে শুধুমাত্র তিনটি অভিমত তুলে ধরা হল যা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেমগণ ব্যক্ত করেছেন। এই হাদিসগুলোর ব্যাপারে আরো অসংখ্য আলেমের অসংখ্য অভিমত রয়েছে। কিন্তু শিয়াদের এই তথাকথিত ১২ ইমামের ধারণা ট্র্যাডিশনাল সুন্নী ইসলামে সমর্থিত না।
শিয়ারা যাঁদের ১২ ইমাম বলে তাঁদের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অভিমত কি?
শিয়াদের ১২ ইমামের প্রথম তিনজন – হজরত আলী (রাঃ), ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসেন (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর অতি নিকটবর্তী সাহাবী। কাজেই তাঁদের ব্যাপারে সুন্নী মতামত আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
শিয়াদের ১২ ইমামের প্রথম তিনজন – হজরত আলী (রাঃ), ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসেন (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর অতি নিকটবর্তী সাহাবী। কাজেই তাঁদের ব্যাপারে সুন্নী মতামত আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইমাম জয়নাল আবেদিন (রাঃ), ইমাম মুহাম্মাদ আল বাকের (রাঃ), ইমাম জাফর সাদেক (রাঃ), ইমাম মুসা আল কাজিম (রাঃ), ইমাম আলী রেজা (রাঃ), ইমাম মুহাম্মাদ আল তাক্বি (রাঃ), ইমাম আলী আন নাক্বি (রাঃ) ও ইমাম হাসান আল আসকারি (রাঃ) তাঁরা সবাই ছিলেন খাঁটি সুন্নী আলেম, ধার্মিকতা ও আধ্যাত্মিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁরা নিজেদের কখনো শিয়া বলে পরিচয় দিয়েছেন বা শিয়া নামে কোন দল তৈরি করেছেন বা শিয়া দলে যোগ দিয়েছেন এমন কোন প্রমাণ নেই। তাঁরা ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর যোগ্য উত্তরসূরি, আদর্শবান ব্যক্তিত্ব। তাঁদেরকে আমরা সম্মান ও শ্রদ্ধা করি।
ইমাম মাহদি (আঃ) ইমাম হাসান আল আসকারি (রাঃ) এর ছেলে আর তিনি শত শত বছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন – শিয়াদের এমন ধারণায় আমরা বিশ্বাসী নই। ইমাম মাহদি (আঃ) আখেরী জামানায় জনসমক্ষে আবির্ভূত হবেন প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায়, কোন কোন বর্ণনায় চল্লিশ বছর বয়সে। সেক্ষেত্রে আখেরী জামানায় তাঁর আবির্ভাব ঘটার কয়েক বছর আগে পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটার কথা।
বিঃদ্রঃ অনেক সময় “সুন্নী ইসলাম” “শিয়া ইসলাম” কথাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। ইসলাম একটাই, আর সেটা হল ইসলাম। আসলে কথার কথা হিসাবে এই টার্মগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। যথাযথভাবে বলতে গেলে এভাবে বলতে হয়, “শিয়া মতবাদ”, কারণ আমরা জানি শিয়াবাদ হচ্ছে ইসলামের ব্যাপারে একটি মতবাদ যা ইসলামের মূলধারার প্রতিনিধিত্ব করে না। তাই একে শিয়া মতবাদ বলতে হচ্ছে। সুন্নী ইসলামকে আবার “সুন্নী মতবাদ” বলা যাচ্ছে না, কেননা আমরা জানি এটা কোন মতবাদ নয়, এটাই মৌলিক ইসলাম যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) এর দেখানো পথ। এইসব জটিলতার কারণে কথার প্রয়োজনে “সুন্নী ইসলাম” “শিয়া ইসলাম” – এভাবে বলতে হয়েছে। ইসলাম হল ইসলাম, সেটা সুন্নীও না শিয়াও না। আমরা যে শিয়া মতবাদসহ অন্যান্য মতবাদের অনুসারী না, বরং মূলধারার ইসলামের অনুসারী, সেটা বোঝানোর জন্যই আমরা সুন্নী শব্দটি ব্যবহার করে থাকি।
ট্যাগ
|
সুন্নী, শিয়া, বারো ইমাম, ১২ ইমাম, ইমাম মাহদি, ইমাম জাফর সাদেক, ইসনা আশারিয়্যাহ, আখেরী জামানা
|
2 comments
Write commentsআপনার এই লেখাটি আমার একটি লেখার কাজে ব্যবহার করতে চাই। অনুমতি দেওয়া যাবে?
Replyধন্যবাদ, আমি একজন মুসলিম হতে চাই আর জান্নাতে যেতে চাই, আমার জন্য দোয়া করবেন।
Reply