২০০৩ সালে সাদ্দামের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে এই নাটক শুরু করে তারা ইরাকে ঢুকল। আইসিস জঙ্গি তৈরি করে ২০১৪ তে সিরিয়ায় ঢুকল তারা। এমন আরো অনেক উপায়ে ইউএস মিলিটারি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অবস্থান পাকা করে ফেলেছে। অবশ্যই “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” করে চলে যাওয়ার নিয়তে নয়, সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য নিয়েই তারা এখানে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিমদের সর্বশেষ শক্তিটুকু নিঃশেষ করা, আরবদের ধ্বংস করা ও হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত নীল নদ থেকে ফোরাত নদী পর্যন্ত এলাকা জুড়ে “গ্রেটার ইসরাইল” বা বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করে দাজ্জালের মিশন সফল করাই তাদের উদ্দেশ্য। তারা নিশ্চিত করতে চায় যে মুসলিমরা কখনোই খিলাফত রাষ্ট্র কায়েম করতে পারবে না এবং চিরতরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দাসত্বে আবদ্ধ থাকবে। কোন মুসলিম দেশের সরকার সৌদি আরব, কাতার, কুয়েতের মত বাধ্য গোলাম হলে তাকে রেহাই দেবে। আর কোন দেশের সরকার তাদের দাসত্ব না করলে তার অবস্থা হবে ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মত।
হিজ মেজেস্টি, মহামতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান ও ইরাক সমস্যার সমাধান করার বলেছিলেন। তার মতে পূর্ববর্তী ফরেন পলিসিগুলো ভুল ছিল। তিনি নাকি ইরাক যুদ্ধের সমর্থক ছিলেন না। আফগানিস্তানে নাকি অযথা অর্থ ও মনুষ্যজীবন ব্যয় হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে পর তারা আরো বাড়তি ৩০০০ সৈন্য পাঠায় আফগানিস্তানে। এখন কোথায় গেল তার “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি? তিনি তো দেখি উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক, জেরুজালেম নিয়ে মহাব্যস্ত। সিরিয়ায় আইসিস তো পটল তুলেছে, তাদের চলে যাওয়ার নাম নিশানা তো দেখাই যাচ্ছে না, দেখে তো মনে হয় কাঁথা বালিশ নিয়ে থাকতে এসেছেন।
ইলেকশন ক্যাম্পেইনের প্রমিজগুলো ছিল ডাহা মিথ্যা। সেই ক্লিনটন, বুশ আর ওবামার বিধ্বংসী আগ্রাসী নীতিই চলছে। কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না।
ট্যাগ
|
নাইন ইলেভেন, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প, গ্রেটার ইসরাইল, ইউএস মিলিটারি, ওসামা বিন লাদেন, বৃহত্তর ইসরাইল, আমেরিকা ফার্স্ট, আখেরী জামানা
|