
ইসরাইলি বর্বরতা কল্পনাকেও হার মানায়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে খাবার, পানি, ওষুধপত্র ইত্যাদি জরুরী জিনিস পৌঁছানোর চেষ্টা করে। সেই জরুরী পণ্যবাহী জাহাজ ও কার্গোগুলো পর্যন্ত আটকে দিয়ে পণ্যগুলোকে ধ্বংস করে দেয় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মাঝে রাসায়ানিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়। ফিলিস্তিনের পানির সাপ্লাইয়েও তারা বিষ মেশাচ্ছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিনি জনগণের।
.
হত্যাকাণ্ডগুলো এত সুপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে যে পৃথিবীর কেউই তেমন কিছু টের পাচ্ছে না। ব্যাপারটা কতটা বিভীষিকাময় তা ফিলিস্তিনে বসবাসরত মানুষ ছাড়া কেউ ধারণা করতে পারবে না। প্রতিদিনই ঘুম থেকে উঠে তারা দেখছে পাশের মানুষগুলো নেই, উধাও। কোন এক সকালে ইসরাইলি লোকজন আসলো আর বাড়িঘর ভেঙ্গে দিয়ে গেল। হটাৎ হটাৎ পরিবারের পুরুষদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তারপর আর এদের দেখা যায় না। এভাবে ১৯৪৭ সাল থেকে একটু একটু করে সম্পূর্ণ একটা দেশ ও জাতিকে গিলে খেয়ে ফেলেছে রাক্ষুসে, দানবীয় রাষ্ট্র ইসরাইল। এমন কোন নজির মানব ইতিহাসে আছে বলে আমার জানা নাই। খুব দ্রুত যদি মুসলিম বিশ্ব থেকে একটা রিস্পন্স না আসে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বা এর মানুষ কোনটারই অস্তিত্ব থাকবে। সবার চোখের আড়ালে প্রায় অদৃশ্যভাবে এটা হয়ে যাবে। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি যাতে তিনি শীঘ্রই ইমাম মাহদি আঃ কে প্রেরণ করেন।
.
“আপনি মানুষের মধ্যে মুমিনদের প্রতি সর্বাধিক কঠোর শত্রুভাবাপন্ন হিসেবে যাদেরকে পাবেন তারা হল ইহুদি আর যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে” – সূরা মায়েদাঃ ৮২।
ট্যাগ
|
ইসরাইল, ফিলিস্তিন, ইমাম মাহদি, দাজ্জাল, আখেরী জামানা, ইহুদি, ইসরাইলি বর্বরতা
|