Sunday, December 10, 2017

Blog Administrator

দাজ্জালের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি হার্প (HAARP)


এর পুরো নাম High Frequency Active Auroral Research Program (HAARP) বা হার্প। US Air Force, US Navy, University of Alaska এবং Defense Advanced Research Projects Agency (DARPA) এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এই প্রজেক্ট পরিচালিত হচ্ছে। আমেরিকার আলাস্কায় এই গবেষনা চলছে। এর মাধ্যমে বায়ু মন্ডলের ionosphere কে নিয়ন্ত্রন করে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। উচ্চ মাত্রার ইলেক্ট্রো ম্যগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে তার মাধ্যমে বায়ু মন্ডলের ionosphere এর অবস্থা বিশ্লেষন, তার সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রন করাই এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য বলে তারা দাবী করে থাকেন। কিন্তু এর মাধ্যমে তারা গোপনে অনেক ধরনের মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা করে যাচ্ছেন। এই প্রজেক্ট শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধের শুরু থেকে। রাশিয়া এবং আমেরিকা আলাদাভাবে এসব প্রজেক্ট করে যাচ্ছে। এই প্রজেক্টের আওতায় আমেরিকা এবং রাশিয়া উভয়েই টেকটনিক ওয়েপন তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে ভূমিকম্প ঘটানো সম্ভব। ভূমির অভ্যন্তরে শক্তিশালী ইলেক্ট্রো ম্যগনেটিক শক্তি উৎপন্ন করে এই ভূমিকম্প ঘটানো হয়। এর মাধ্যমে হাজার হাজার মাইল দূরবর্তী এলাকার আবহাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায় । খরা-বন্যা-টর্নেডো-ভূমিকম্প ইত্যাদি সৃষ্টির মাধ্যমে শত্রুকে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করা যায় ।
.
হার্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক বিজ্ঞানী এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পেরে এ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য তাদের ডাকা হলেও কাজ করতে গিয়ে তারা টের পান আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। হার্পের সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার জন এল হ্যাকশেয়ার বলেন, ‘জনগণকে বলা হয় যে, হার্পের কোনো মিলিটারি ভ্যালু নেই। যদিও এটি বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু এর গভীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণকে কখনো জানানো হয় না। এর দ্বারা হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত শত্রু এলাকার আবহাওয়ায় প্রভাব ফেলা যাবে।’
.
ইতিমধ্যে তারা পৃথিবীর অনেক দেশে সফলভাবে তাদের এই অপারেশন চালিয়েছে ও ভবিষ্যতেও চালাবে। আমেরিকা ইসরাইল বিরোধী দেশগুলো এর প্রধান ভুক্তভুগী।
.
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “দাজ্জাল এক জনসমাজে গিয়ে মানুষকে তার প্রতি ঈমান আনয়নের আহবান জানাবে। এতে তারা ঈমান আনবে। দাজ্জাল তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করার জন্য আকাশকে আদেশ দিবে। আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে, যমিন ফসল উৎপন্ন করবে এবং তাদের পশুপাল ও চতুষ্পদ জন্তুগুলো অধিক মোটা-তাজা হবে এবং পূর্বের তুলনায় বেশী দুধ প্রদান করবে। অতঃপর অন্য একটি জনসমাজে গিয়ে মানুষকে তার প্রতি ঈমান আনয়নের আহবান জানাবে। লোকেরা তার কথা প্রত্যাখ্যান করবে। দাজ্জাল তাদের নিকট থেকে ব্যর্থ হয়ে ফেরত আসবে। এতে তারা চরম অভাবে পড়বে। তাদের ক্ষেত-খামারে চরম ফসলহানি দেখা দিবে। দাজ্জাল পরিত্যক্ত ভূমিকে তার নিচে লুকায়িত গুপ্তধন বের করতে বলবে। গুপ্তধনগুলো বের হয়ে মৌমাছির দলের ন্যায় তার পিছে পিছে চলতে থাকবে।’’ (সহিহ মুসলিম)
.
হার্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে দেখুনঃ
http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=5080
http://www.somoyerkonthosor.com/2016/06/23/5007.htm
ট্যাগ
হার্প, দাজ্জাল, আবহাওয়া, কৃত্রিম ভূমিকম্প, দাজ্জাল এর ভিডিও, দাজ্জাল কোথায় আছে, দাজ্জাল এর আগমন, দাজ্জাল বই, দাজ্জাল সম্পর্কে হাদীস, দাজ্জাল ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দাজ্জাল pdf, গারকাদ গাছ, আখেরী জামানা