জায়নিস্ট ইহুদিদের দাবি তাদের পবিত্র ভূমি ইসরাইলের বিস্তার মিশরের নীলনদ থেকে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত। এই এলাকায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে সম্পূর্ণ ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্দান এবং মিশর, সৌদি আরব, ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ। নিজেকে ইহুদিদের কাছে সত্য মাসিহ (Messiah) হিসেবে প্রমাণ করতে হলে দাজ্জালকে অবশ্যই এই “প্রতিশ্রুত” ভূমি দখল করে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। নাহলে কোন ইহুদিই তাকে মাসিহ হিসেবে মেনে নেবে না। তাই ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলা ও ২০০৩ সালে আমেরিকার ইরাক হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যে নাটক চলছে তা এই বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠারই নামান্তর মাত্র।
বুদ্ধিটা হল আরব দেশগুলোতে সরকারবিরোধী জঙ্গিবাহিনী তৈরি করা ও সরকারের পতন ঘটানো। তারপর এমন একদল সরকার নিয়ে আসা যারা হবে ইসরাইল ও আমেরিকার অনুগত, বাধ্যগত দাস। তারপর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এক ধরণের ধোঁকাবাজি যুদ্ধ শুরু করা। দেশের মানুষগুলোকে মেরে পিটিয়ে শেষ করে ফেলা ও অবশিষ্টদের রেফিউজি বানিয়ে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেওয়া। সময় হলে দেখবেন সরকারের লোকেরা স্যুটকেস নিয়ে পালাচ্ছে এবং ইসরাইল আরামসে দেশগুলো দখল করে তার প্রতিশ্রুত পবিত্র ভূমি প্রতিষ্ঠা করে ফেলবে।
উল্লেখ্য, অরিজিনাল তাওরাতে তাদের এমন কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। এটা তাদের শয়তানসূলভ চক্রান্ত ও মিথ্যা কথা যা তারা আল্লাহর কিতাবকে পরিবর্তন করে তাতে লিখে দিয়েছে। পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তারা যেসব অঞ্চলে রেফিউজি হয়ে বাস করছিল সেগুলোকেও তারা পবিত্র ভূমি বলে দাবি করছে।
ট্যাগ |
ইসরাইল, ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, ইসরাইল উইকিপিডিয়া, ইসরাইল ধর্ম, ইসরাইল এর ইতিহাস, ইসরাইল ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইসরাইল সেনাবাহিনী, ইসরাইলের আয়তন, ইসরাইলের জনসংখ্যা, জায়নিস্ট, পবিত্র ভূমি, দাজ্জাল, তাওরাত, নীলনদ, ফোরাত নদী, ইহুদি, আখেরী জামানা |