সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “দাজ্জাল পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করবে”? নবীজি (সঃ) বলেন, “চল্লিশ দিন। প্রথম দিনটি এক বছরের সমান, দ্বিতীয় দিনটি এক মাসের সমান ও তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহের সমান হবে। বাকি দিনগুলো তোমাদের দিনসমূহের মতই হবে”।
.
দাজ্জালের কাজ হল জেরুজালেম থেকে সমগ্র পৃথিবী শাসন করা। আর দাজ্জালকে মুক্তি দেয়া হবে একটি দ্বীপে, সেই দ্বীপ থেকে সে সমগ্র পৃথিবী শাসন করার মিশন শুরু করবে। এ বিষয়ে শায়খ ইমরান নযর হোসেনের মত, আইল্যান্ড অব ব্রিটেন বা ইংল্যান্ডই হল সেই দ্বীপ। ব্রিটেন হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম দেশ যা সমগ্র পৃথিবীকে শাসন করেছে। শুধু তাই নয়, মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করে পবিত্র ভূমি জয় করা ও ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটিও করেছে এই ব্রিটেন। ব্রিটেন হল পৃথিবীর প্রথম রুলিং স্টেট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড রুলিং স্টেট হল আমেরিকা, যার ১ নম্বর মিত্র হল ইসরাইল এবং ব্রিটেনের মত তার সমস্ত ফরেন পলিসি ইসরাইলের স্বার্থের দিকে খেয়াল রেখেই প্রণয়ন করা হয়। ইসরাইলকে টাকা পয়সা, অস্ত্র, সৈন্যবাহিনী, নিরাপত্তা সব কিছু দিয়ে লালন পালন করে বড় করেছে আমেরিকা। আমেরিকার পতনের পর তৃতীয় রুলিং স্টেট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হবে ইসরাইল।
.
এসব কিছু দুর্ঘটনাবশত হয়নি। শুরু থেকেই ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইসরাইলের মধ্যে এই রহস্যময় সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। যাতে শেষমেশ ইসরাইল পৃথিবীর রুলিং স্টেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে ও দাজ্জাল জেরুজালেম থেকে পৃথিবী শাসন করে নিজেকে প্রতিশ্রুত মাসিহ বলে দাবি করতে পারে। ব্রিটেনের শাসনামল হল দাজ্জালের এক বছর, আমেরিকার শাসনামল দাজ্জালের এক মাস ও ইসরাইল যখন পৃথিবী শাসন করবে তখন হবে দাজ্জালের এক সপ্তাহ। দাজ্জাল যখন মানুষরূপে জেরুসালেমে আবির্ভূত হবে তখন তার দিনগুলো হবে আমাদের দিনের মত, ফলে আমরা তাকে খালি চোখে দেখতে পাব। বাইবেলে দাজ্জালের প্রতীক 666 যেখানে 600+60+6=666. এখানে আসলে তার আগমনের যে সময়, তার তিনটা ধাপ বর্ণনা করা হচ্ছে। ব্রিটেন যতদিন পৃথিবী শাসন করেছে তার চেয়ে অনেক ক্ষুদ্রতর সময় পৃথিবী শাসন করেছে আমেরিকা এবং তার চেয়েও অনেক ক্ষুদ্রতর সময় পৃথিবী শাসন করবে ইসরাইল।
.
মহানবী সঃ এর জীবদ্দশাতেই দাজ্জালকে পৃথিবীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইবনে সাইয়্যাদ নামে এক ইহুদি ছেলেকে তিনি দাজ্জাল হিসেবে সন্দেহ করেন। দাজ্জালের সঙ্গে যখন সাহাবীদের দেখা হয় তখন সে একটি দ্বীপে শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল এবং বলেছিল, “আমি দাজ্জাল, খুব শীঘ্রই আমাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে ও আমি সারা পৃথিবী ভ্রমন করব”। যখন রাসুলুল্লাহ সঃ ইহুদি ছেলেকে দাজ্জাল হিসেবে সন্দেহ করেন সেই সময় যদি দাজ্জাল মুক্তি না পেয়ে গিয়ে থাকে তবে তার খোঁজ করার কোন অর্থ নেই।
| ট্যাগ |
জেরুজালেম ইতিহাস, জেরুজালেম কোথায় অবস্থিত, জেরুজালেম মসজিদ, জেরুজালেম কেন বিখ্যাত, ইহুদি জাতি, জেরুজালেম বই, জেরুজালেমের ইতিহাস pdf, মসজিদুল আকসার ইতিহাস, দাজ্জাল এর ভিডিও, দাজ্জাল কোথায় আছে, দাজ্জাল এর আগমন, দাজ্জাল বই, দাজ্জাল সম্পর্কে হাদীস, দাজ্জাল ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দাজ্জাল pdf, গারকাদ গাছ, ইমরান নযর হোসেন, আখেরী জামানা
|
