কোরআন শরীফের সূরা কাহাফের ৯৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “তারা বললঃ হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছে। আপনি বললে আমরা আপনার জন্যে কিছু কর ধার্য করব এই শর্তে যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন”।
.
প্রথমত, ইয়াজুজ মাজুজ হল পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রাণী। পবিত্র কোরআন অনুযায়ী পৃথিবীতে অবস্থানকারী বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হল তিনটি। ফেরেশতা, জীন ও মানুষ। ইয়াজুজ মাজুজ অবশ্যই ফেরেশতা হতে পারে না, কারণ ফেরেশতারা কখনো ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে না। ফ্যাসাদ এর অর্থ হল ভয়ঙ্কর ধরনের অপরাধ, ইংরেজিতে যাকে বলে Mischief। ফেরেশতাদের নিজস্ব ইচ্ছা শক্তি নেই। কাজেই, ইয়াজুজ মাজুজ অবশ্যই মানুষ ও জীনের মধ্য হতে।
.
ইয়াজুজ মাজুজ জীনও হতে পারে না। কেননা, ইয়াজুজ মাজুজকে দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছিল। জীনের মত এমন এক অলৌকিক ক্ষমতাধর অদৃশ্য বস্তুকে লোহা ও তামার দেয়াল দিয়ে কখনোই আটকানো সম্ভব নয়। দেয়াল দিয়ে শুধুমাত্র এমন এক প্রাণীকে আটকানো সম্ভব যারা ম্যাটিরিয়াল সাবসটেন্স দিয়ে তৈরি। আর তা একমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
.
হাদিসে বিষয়টা আরও সরাসরি এসেছে। কেয়ামতের দিন আল্লাহ ডাকবেন, “হে আদম, তোমার সন্তানদের মধ্য থেকে যারা জাহান্নামী তাদেরকে বের করে আন”। আদম আঃ বলবেন, “জাহান্নামী কারা”? আল্লাহ বলবেন, “প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন” (সহিহ বুখারিঃ ৩৩৪৮)। রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন, ঐ নয়শত নিরানব্বই জন হবে ইয়াজুজ মাজুজ থেকে।
.
এভাবে কোরআন হাদিস দুই দিক থেকেই প্রমাণিত হয় যে ইয়াজুজ মাজুজ আদম আঃ এর বংশধর। তবে এটা সত্য যে তারা অত্যন্ত ক্ষমতাধর। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, “আমি এমন শক্তিশালী কিছু বান্দাকে সৃষ্টি করিয়াছি, যাদেরকে আমি ছাড়া অন্য কেউ ধ্বংস করতে পারবে না”।
প্রথমত, ইয়াজুজ মাজুজ হল পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রাণী। পবিত্র কোরআন অনুযায়ী পৃথিবীতে অবস্থানকারী বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হল তিনটি। ফেরেশতা, জীন ও মানুষ। ইয়াজুজ মাজুজ অবশ্যই ফেরেশতা হতে পারে না, কারণ ফেরেশতারা কখনো ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে না। ফ্যাসাদ এর অর্থ হল ভয়ঙ্কর ধরনের অপরাধ, ইংরেজিতে যাকে বলে Mischief। ফেরেশতাদের নিজস্ব ইচ্ছা শক্তি নেই। কাজেই, ইয়াজুজ মাজুজ অবশ্যই মানুষ ও জীনের মধ্য হতে।
.
ইয়াজুজ মাজুজ জীনও হতে পারে না। কেননা, ইয়াজুজ মাজুজকে দেয়াল দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছিল। জীনের মত এমন এক অলৌকিক ক্ষমতাধর অদৃশ্য বস্তুকে লোহা ও তামার দেয়াল দিয়ে কখনোই আটকানো সম্ভব নয়। দেয়াল দিয়ে শুধুমাত্র এমন এক প্রাণীকে আটকানো সম্ভব যারা ম্যাটিরিয়াল সাবসটেন্স দিয়ে তৈরি। আর তা একমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
.
হাদিসে বিষয়টা আরও সরাসরি এসেছে। কেয়ামতের দিন আল্লাহ ডাকবেন, “হে আদম, তোমার সন্তানদের মধ্য থেকে যারা জাহান্নামী তাদেরকে বের করে আন”। আদম আঃ বলবেন, “জাহান্নামী কারা”? আল্লাহ বলবেন, “প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন” (সহিহ বুখারিঃ ৩৩৪৮)। রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন, ঐ নয়শত নিরানব্বই জন হবে ইয়াজুজ মাজুজ থেকে।
.
এভাবে কোরআন হাদিস দুই দিক থেকেই প্রমাণিত হয় যে ইয়াজুজ মাজুজ আদম আঃ এর বংশধর। তবে এটা সত্য যে তারা অত্যন্ত ক্ষমতাধর। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, “আমি এমন শক্তিশালী কিছু বান্দাকে সৃষ্টি করিয়াছি, যাদেরকে আমি ছাড়া অন্য কেউ ধ্বংস করতে পারবে না”।
ট্যাগ |
ইয়াজুজ মাজুজ pdf, ইয়াজুজ মাজুজ কোথায় আছে, ইয়াজুজ মাজুজ কারা এরা কোথায় আছে এবং যে ভাবে আবির্ভাব হবে, জুলকারনাইন ও ইয়াজুজ মাজুজ, জুলকারনাইনের প্রাচীর, ইয়াজুজ মাজুজ মোঙ্গল, বাদশাহ জুলকারনাইন, সাইরাস দি গ্রেট, সূরা কাহাফ, আখেরী জামানা
|